Wellcome to National Portal

"বস্ত্র শিক্ষায় শিক্ষিত হলে, বেকারত্ব থেকে মুক্তি মেলে"---”বস্ত্রখাতের বিশ্বায়নঃ বাংলাদেশের উন্নয়ন”---"দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বস্ত্র শিক্ষা কার্যক্রম

বস্ত্র শিক্ষা কার্যক্রম

বস্ত্রশিল্পের দ্রুত বিকাশের পাশাপাশি বস্ত্র খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে বস্ত্র অধিদপ্তর ভূমিকা রেখে চলেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি মোকাবিলায় প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করাটা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে বস্ত্র অধিদপ্তর বিভিন্ন বস্ত্রশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট এবং টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে। এসকল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে বছরে যথাক্রমে ৪১৬ জন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার, ৩৬১ জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং ৩৬৮৬ জন এসএসসি টেক্সটাইল (ভোকেশনাল) পাশ করে বের হচ্ছে এবং বস্ত্রশিল্পে বিভিন্ন সেক্টরে ফ্লোর পর্যায় হতে শুরু করে এক্সিকিউটিভ পর্যায়ে কর্মরত হয়ে এ খাতের দক্ষ জনবলের চাহিদা পূরণে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। এ সকল বস্ত্র প্রযুক্তিবিদগণ আধুনিক আর্টিফিসিয়াল বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন, রোবটিক্স ও ন্যানোটেকনোলজির মেশিনারিজসমূহ সহজভাবে পরিচালনা করতে পারবে, ফলে একদিকে যেমন বিদেশি টেকনিশিয়ানদের চাহিদা হ্রাস পাবে তেমনি নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেই দিক বিবেচনায় সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনায় দেশীয় দক্ষ বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং সে অনুযায়ী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে।

বস্ত্রখাতে বিভিন্ন লেভেলে দক্ষ জনবল তৈরির উদ্দ্যেশে ১৯১১ সাল হতে ১৯২৯ সালের মধ্যে পূর্ব বাংলায় ৩৩টি টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র আকারে চালু করা হয় (যেগুলো পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান বয়ন বিদ্যালয়, জেলা বয়ন বিদ্যালয়, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রতিষ্ঠিত হয়।) এই ৩৩টি টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্য হতে ঢাকার নারিন্দাস্থ প্রতিষ্ঠানটি ‘(যার পূর্ব নাম ছিল ব্রিটিশ স্কুল অব উইভিং (১৯২১-১৯৩৫) এবং পূর্ব পাকিস্তান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট (১৯৩৫-১৯৫০)’ তেজগাঁও-এ ১৯৫০ সালে স্থানান্তরিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টাতে ঐ পূর্ব পাকিস্তান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এর জন্য তেজগাঁওয়ে জমি লিজ নেয়া সম্ভব হয়। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুই লিজ হিসেবে নেয়া জমিটি স্থায়ীভাবে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করেন। পরবর্তিতে ১৯৭৮ সালে এটি কলেজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি নামে নামকরণ করা হয় এবং এতে বিএসসি-ইন-টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়। এরপর ২০১০ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এটিকে “বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে” উন্নীত করে এবং ২০১১ সালের ১৫ই মার্চ “বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়” তথা ‘বুটেক্স’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এরপরও দেশে উচ্চতর বস্ত্র প্রকৌশলীর প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে ২০০৬ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন ০৯ (নয়)টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এবং ১১টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়। এছাড়া ১৯৯৬ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ২৭টি বয়ন বিদ্যালয়কে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট-এ উন্নীত করা হয়। বর্তমানে বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে এসএসসি টেক্সটাইল ভোকেশনাল কোর্স চালু রয়েছে।