প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও ইতিহাস
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, বগুড়া। টেক্সটাইল শব্দটি (Textile) ল্যাটিন শব্দ Textilis থেকে এসেছে যার অর্থ (“to weave”) বয়নের মাধ্যমে অর্থাৎ তাঁতের সাহায্যে কাপড় তৈরী করা। বাংলাদেশে ১৯১০ সাল থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। যার নাম করন করা হয় weaving school বা বয়ন বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান গুলোতে সাধারণ শিক্ষার সাথে সাথে বস্ত্র সম্পর্কিত বিশেষায়িত শিক্ষা দেয়া হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর প্রতিষ্ঠানগুলো তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদের প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে। এরপর ১৯৯৬ সালে স্কুল অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি নামে এসএসসি ভোকেশনাল কোর্স কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুরু করে। যা আজ সময়ের বিবর্তনে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট। বর্তমানে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিটিউ বগুড়া’র প্রতিষ্ঠানে চারটি ট্রেড এর কার্যক্রম চালু আছে। সেগুলো হলোঃ (১) অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং এন্ড বেসিক, (২) টেক্সটাইল ডাইং, প্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং, (৩) উইভিং এবং (৪) নিটিং।
টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পাশ করার পর একই মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের অধীনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও এসএসসি পাশের সনদ দিয়ে বস্ত্র অধিদপ্তরাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সুযোগ রয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি হল বস্ত্র। কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিক থেকে বস্ত্র শিল্প বৃহত্তম দ্বিতীয় খাত। দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৮৬% আসে পোশাক খাত থেকে। তাই দেশের সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে ও দক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলীর সৃষ্টিতে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের গুরত্ব অপরিসীম।
(মোঃ নূরে আলম সিদ্দীক)
সুপারিনটেনডেন্ট
টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট
বগুড়া।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস